মাইকেল জেফরি জর্ডান জন্ম ১৭ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ সাল একজন অবসর প্রাপ্ত মার্কিন বাস্কেটবল খেলয়ার। তিনি তার প্রজন্মের সবথেকে শুনাম অর্জন কারি খেলয়ার যার খ্যাতি ১৯৮০-১৯৯০ এর ভিতরে ছড়িয়ে পরে। মাইকেলের জীবনে শুধু ব্যার্থতা যেনে অবাক হবেন এমন মানুষ কিভেবে জিবনে সফলতা পেলেন।
মাইকেলের ভাষায় তিনি ক্যারিয়ারে ৯০০০ হাজার শট মিস করেছে হেরে গিয়েছে ৩০০ শত গেমে, ২৬ বার উইনিং শট নেয়ার জন্য টিম তার উপরে ভরসা করতো কিন্তু সে বার বার ব্যার্থ হয়েছেন। মাইকেলের ভাষায়, আমি বার বার ব্যার্থ হয়েছি জন্যই আমি আজকে সফল। ১৯৭৮ সালে আমি Laney high school এর ছাত্র তখন ভার্সিটি বাস্কেটবল টিম ঘোষণা করা হলো। কিছু মানুষ আমার প্রতিভার কথা জানে আমি টিমে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে দারিয়ে আছি অপেক্ষা করছি অথচ দেখা গেলো লিস্টে আমার নাম আসেনাই বলা হয়েছে জুনিয়র ভার্সিটি টিমে খেলতে হলে আরো পরিপক্ক হতে হবে। আমার খেলা নিয়ে কারো খারাপ মনভাব ছিল না তবে আমাকে খেলাতে না নেওয়ার পিছনে অন্য কোন কারন আছে। ভার্সিটি টিম যখন ১১ সিনিয়র ও ৩ জন জুনিয়র প্লেয়ার ছিল যারা টিমের অংশ স্পেস বাকি শুধু একজন প্লেয়ারের চয়েস ছিলো আমি আর আমার বন্ধু লেরয় স্মিথের মধ্যে একজন। আমার হাইট ছিল ৫ ফিট ১০ সেখানে ৬ ফিট ৬ হলো স্মিথ। সবাই জানে বাস্কেটবল প্লেয়ার হাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমি সুযোগ পেলাম না তীব্র আঘাতে ভেজ্ঞে যাওয়া বুক নিয়ে রুমে ফিরে দরজা বন্ধ করে অনেকটা কান্না করলাম। এই সময় আমি অভিমানে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি খেলাই ছেড়ে দিবো কিন্তু আমার মা আমাকে অনেক বুঝিয়ে আবার খেলায় ফিরিয়ে আনলেন এবং আমি ফিরে এলাম একজন জয়ীর মতো করে। অনেক পরে জুনিয়ার ভার্সিটি টিমে অংশ নিয়ে বুক ভরা কষ্ট নিয়ে খেলতে শুরু করলাম। আমার নিজের মস্তিষ্ক এমন ভাবে তৈরি করলাম যেন আমি ব্যার্থ কে কাজে লাগিয়ে সফল হতে পারি। একটা কথা যারা গ্রেট তার ব্যার্থ কে অন্য ভাবে কাজে লাগান তারা খারাপ সময়ের হেরে যাওয়া কষ্টকে মনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
এই গুনটাই মাইকেল কে ভার্সিটি টিম থেকে টেস্ট টিম তার পরে NBA সফলতার চূড়ান্ত পর্যায় নিয়েছে। অসংখ্য রেকর্ড করেছেন তিনি বলা যায় NBA ইতিহাসে সবচেয়ে Decorated player তিনি। শুধু তাই নয় বাস্কেটবল পৃথিবীর বুকে জনপ্রিয় করার পিছনে তার হাতই সবথেকে বেশি অংশিদার। মাইকেল জর্ডান দেখিয়েছেন ব্যার্থতা থেকে কিভাবে বেরিয়ে সফল হতে হয়।
মাইকেল বলেন, যারা হাজারও কষ্টের মধ্য থেকে সূর্যের মতো জ্বলে উঠতে পারে তারাই প্রকৃত নায়ক। একাটা কথা মনে রাখবেন কেউ আপনার দুঃখের সময় পাশে না থাকলেও, আপানর সুখের সময় ঠিকই থাকবে তাই সাবধান।
সবসময় নিজের মতো করে কাজটা ভালবাসেন কারোর কথায় না। আমরা জানি এই পৃথিবীতে শত ভাগের ভিতরে মাত্র একভাগ মানুষ সফল, এর কারন জানেন কি? কারন তারা তাদের মতো, কারোর কথায় তারা থেমে থাকে না। ভালবাসুন নিজের কাজকে আর সবাইকে অনুপ্রেরণা দিন।
0 Comments