টমাস আলভা এডিসন যিনি এই বিশ্বকে আলোকিত করার কারিগর। তিনি গ্রামোফোন ভিডিও ক্যামেরা এবং বাল্ব এমন অনেক কিছু আবিষ্কার করেন যা বিংশ শতাব্দির জীবন যাত্রার মোড় ঘুড়িয়ে দেয়। যার জীবনের ঘটনা শুনলে আপনার জীবনের মোরও ঘুড়ে জেতে পারে। 


একদিন শিশু এডিসন বাড়ি ফিরে তার মায়ের হাতে একটি কাগজের টুকরো দিয়ে বলে মা স্যার এই চিঠিটি তোমাকে দিতে বলেছে, আর বলেছে চিঠিটা যেন শুধু তুমি পড়। এডিসনের মা হাত থেকে চিঠিটা নিলেন এবং এডিসন মাকে বললেন আচ্ছা মা এতে কি লেখা আছে? এডিসনের মা চিঠিটা খুলে পড়তে লাগলেন এবং কান্নায় তার চোখটা ভিজে উঠলো! তিনি চোখের পানি আটকে রেখে তার প্রিয় এডিসনের সামনে জরে জরে পড়তে লাগলেন যে, আপনার ছেলে অসাধারন প্রতিভাবান, আমাদের এই ছোট্ট স্কুলে ওর মত দুরদান্ত একজন মেধাবী ছাত্রকে শেখানোর মত শিক্ষক আমাদের এই স্কুলে নেই। এডিসনের মা যত দিন বেঁচে ছিলেন ততো দিন এই গল্পটা শুনাতেন তার অনেক দিন পরে এডিসনের মা অসুস্থ হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর বেশ কিছু বছর পরে এডিসন দেশের অন্যতম একজন বিজ্ঞানী হয়ে উঠে। একদিন তিনি তার প্রয়োজনীয় কিছু খুজতে গিয়ে হঠাৎ পেয়ে গেলেন মাকে উদ্দেশ্য করে সেই ছোট বেলায় স্কুল শিক্ষকের লেখা চিঠি। চিঠিটি ছিলো মোড়ানো অবস্থায়, সে চিঠিটা খুলে দেখলেন চিঠিতে যা লেখা ছিলো তা হলো আপনার ছেলে একজন মানসিক ভাবে ত্রুটি পূর্ণ ওর মেধা নেই, আমরা তাকে আমদের স্কুলে আর রাখতে পারছি না তাই ওকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হলো। 


এডিসন চিঠিটি পড়ে প্রচণ্ড আবেগতারিত হয়ে পরলেন সে তখন তার ডায়রিতে লিখে রাখেন, এডিসন শৈশবে একজন মানশিক প্রতিবন্দি ছিলো। তার মা সেই প্রতিবন্দি ছেলেটাকে আজ দেশের অন্যতম একজন প্রতিভাবান মানুষ হিসাবে তৈরি করে গেলন। ভেবে দেখেছেন এডিসনের জীবনের একটি ছোট গল্প থেকে আমরা কি পেলাম? শুধু মাত্র একজন মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গী আর অনুপ্রেরণাই বদলে দিতে পারে আর একটি জীবনের গল্পকে। মায়ের এই সাহস আর অনুপ্রেরণা না থাকলে হয়তো এডিসন সারা জীবন একটা মানশিক প্রতিবন্দি ছেলে থেকে যেতো। একজন এডিসন যেভাবে তৈরি হলো আজকে হাজারও এডিসন শুধু এই অনুপ্রেরণার জায়গা থেকেই ঝরে পড়ে যায়। আপনার আমার কাছেও এমন একটা জাদু আছে যা পৃথিবীর হাজারও মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে, সেই জাদুটা হলো মানুষকে উৎসাহিত করা। চলুন আজ থেকে আমরা একজন জাদুকর হয়ে আমাদের চার পাশের মানুষগুলো কে একটু অনুপ্রেরণা দিয়ে তাদের সাহায্য করি। 


আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা ভালো কাজে কখনই ছেলেদের উৎসাহিত করে না তারা চায় না যে একটা ছেলে ভালো কিছু করুক। তারা নিজেরা ভালো কিছু করতেও পারে না আবার অন্যকে করতে দেয় না। পরিশেষে একটা কথা মনে রাখবেন ভালো কাজে খুব কম মানুষই আপনাকে উৎসাহিত করবে অনুপ্রেরণা দিবে! এই জন্য কারোর কথায় কান না দিয়ে নতুন কিছু করুন, অন্য জনকে অনুপ্রেরণা দিন নিযে ভালো কাজ করুন। 


সবাইকে ভালবাসুন খুব কম লোকের উপরে ভরসা রাখুন কারো প্রতি ভুল কিছু করবেন না।